Wellcome to National Portal

উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয়, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম এর তথ্য বাতায়নে স্বাগতম।  বাংলাদেশের  মোট জনসংখ্যা ১৬,৯৮,২৮,৯১১ জন (২০২২ সাক্ষরতার হার ( বছর এবং তার বেশি) - ৭৪.৬৬ মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর হার ( বছর বা তার বেশি) - ৫৫.৮৯% ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর হার ( বছর বা তার বেশি) - ৩০.৬৮ জিডিপি - ৩৯,৭৬৫ বিলিয়ন টাকা (২০২১-২২) (P)   জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার - .২৫% (২০২১-২২) (P)  জিএনআই - ৪১,২৪১ বিলিয়ন টাকা (২০২১-২২) (P)  মাথাপিছু আয় - ,৮২৪ মার্কিন ডলার (২০২১-২২) (P)  আমদানি ,০২৩ বিলিয়ন টাকা (২০২০-২১ রপ্তানি ,৭৬৪ বিলিয়ন টাকা (২০২০-২১ মূল্যস্ফীতি .৭১% (ডিসেম্বর ২০২২  রেমিটেন্স ১৬৮.০১ বিলিয়ন টাকা (ডিসেম্বর ২০২২  বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ - ৩৩,৭৪৭. মিলিয়ন মার্কিন ডলার (ডিসেম্বর ২০২২) 

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

পরিসংখ্যান আইন

                                                               পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩

                                                                                         ( ২০১৩ সনের ১২ নং আইন )

                                                                                                                                 [ মার্চ ৩, ২০১৩ ]

পরিসংখ্যান সম্পর্কিত কার্যক্রম গতিশীল, সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক এবং সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে প্রণীত আইন

যেহেতু বাংলাদেশের জনসংখ্যা, কৃষি, শিল্প, জনমিতি, অর্থনীতি, আর্থ-সামাজিক বিষয়াদি, প্রাকৃতিক সম্পদ, পরিবেশ, ইত্যাদি সংক্রান্ত সঠিক ও নির্ভুল পরিসংখ্যান সম্পর্কিত কার্যক্রমকে গতিশীল, সমন্বিত, লক্ষ্যভিত্তিক এবং সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়;

   

সেহেতু এতদ্‌দ্দ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :-

সংক্ষিপ্ত শিরোনাম ও প্রবর্তন১। (১) এই আইন পরিসংখ্যান আইন, ২০১৩ নামে অভিহিত হইবে।  (২) এই আইন অবিলম্বে কার্যকর হইবে।সংজ্ঞা২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থি কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে –  (১)“উপ-মহাপরিচালক” অর্থ ব্যুরোর উপ-মহাপরিচালক;  (২) “জরিপ” অর্থ পরিসংখ্যান বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে সমগ্রক হইতে নমুনা চয়নের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ;  (৩) “পরিসংখ্যান” অর্থ পরিসংখ্যান বিজ্ঞান বা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি অনুসরণক্রমে শুমারি বা সেন্সাস ও জরিপের মাধ্যমে সংগৃহীত ও প্রকাশিত তথ্য;  (৪) “বিধি” অর্থ এই আইনের অধীন প্রণীত বিধি;  (৫) “ব্যক্তি ” অর্থ কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এবং কোম্পানি, সমিতি, অংশীদারী কারবার, সংবিধিবদ্ধ বা অন্যবিধ সংস্থা বা উহাদের প্রতিনিধিও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;  (৬) “’ব্যুরো” অর্থ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো;  (৭)“মহাপরিচালক” অর্থ ব্যুরোর মহাপরিচালক;  (৮) “শুমারী” অথবা “সেন্সাস” অর্থ একটি ভূখণ্ডের সকল মানুষ ও বিভিন্ন সেক্টর বা ইউনিটকে গণনা করা; এবং  (৯) সরকারি পরিসংখ্যান” অর্থ ব্যুরো কর্তৃক প্রণীত, সংরক্ষিত, প্রকাশিত ও প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, ধারা ১১ এর অধীন অনুমোদিত পরিসংখ্যান।আইনের প্রাধান্য৩। আপাতত: বলবৎ অন্য কোন আইনে ভিন্নতর যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের বিধানাবলী প্রাধান্য পাইবে।ব্যুরো প্রতিষ্ঠা৪। এই আইন বলবৎ হইবার পর, যতশীঘ্র সম্ভব, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নামে একটি ব্যুরো প্রতিষ্ঠা করিবে।ব্যুরোর প্রধান কার্যালয়, ইত্যাদি৫। (১) ব্যুরোর প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত হইবে।  (২) সরকার, প্রয়োজনে, ঢাকার বাহিরে যে কোন স্থানে উহার শাখা কার্যালয় স্থাপন ও কর্মপরিধি নির্ধারণ করিতে পারিবে।  ব্যুরোর কার্যাবলী৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে ব্যুরোর কার্যাবলী হইবে নিম্নরুপ, যথা:-  (ক) সঠিক, নির্ভুল ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান প্রণয়ন ও সংরক্ষণ;  (খ) সঠিক, নির্ভুল ও সময়োপযোগী পরিসংখ্যান প্রণয়নের জন্য দেশের আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে জরিপ পরিচালনা;  (গ) জনশুমারি, কৃষিশুমারি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ শুমারি, অর্থনৈতিক শুমারিসহ অন্যান্য শুমারি ও জরিপের লক্ষ্যে যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ;  (ঘ) সরকারি পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনাবিদ, নীতি-নির্ধারক, গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীগণের চাহিদা অনুসারে দ্রুততার সহিত নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহারবান্ধব পরিসংখ্যান সরবরাহকরণ;  (ঙ) পরিসংখ্যান বিষয়ক নীতিমালা ও পদ্ধতি প্রণয়ন;  (চ) শাখা কার্যালয়ের কার্যাদি সরেজমিনে তদারক এবং, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে, উহার প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ;  (ছ) জাতীয় পরিসংখ্যান উন্নয়ন কৌশলপত্র ( National Strategy for Development of Statistics) প্রবর্তন এবং, সময় সময়, হালনাগাদকরণ;  (জ) পরিসংখ্যান বিষয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ;  (ঝ) পরিসংখ্যানের ভূমিকা ও কার্যক্রমের গুরূত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধিকরণ;  (ঞ)পরিসংখ্যান কার্যক্রম সম্পাদনে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতকরণ;  (ট) যে কোন কর্তৃপক্ষ, পরামর্শ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে পরিসংখ্যান বিষয়ে প্রয়োজনীয় সমন্বয় ও সহযোগিতা প্রদান;  (ঠ) ভোক্তার মূল্য-সূচকসহ অন্যান্য মূল্য-সূচক এবং জাতীয় হিসাব প্রস্তুতকরণ;  (ড) অর্থনৈতিক, পরিবেশগত, সামাজিক ও জনমিতি সংক্রান্ত নির্দেশক প্রণয়ন ও প্রকাশকরণ;  (ঢ) ভূমি ব্যবহারসহ বিভিন্ন পসলের উৎপাদন, উৎপাদন-ব্যয় এবং ফসলাধীন জমির পরিমাণ প্রাক্কলন;  (ণ) জিও-কোড সিস্টেম প্রণয়ন এবং একমাত্র সরকারি জিও-কোড সিস্টেম হিসাবে উহা হালনাগাদকরণ ও সংরক্ষণ এবং অন্যান্য সকল সরকারি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধকরণ;  (ত) জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার (National Population Register) প্রণয়ন ও সময় সময়, হালনাগাদকরণ;  (থ) সমন্বিত সেন্ট্রাল জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম ( Geographical Information System) প্রণয়ন;  (দ) পরিসংখ্যানের প্রধান প্রধান কার্যক্রমসমূহ আন্তর্জাতিক মানে প্রমিতকরণ ( standardization );  (ধ) সংরক্ষণের বিকল্প ব্যবস্থাসহ জাতীয় তথ্য ভাণ্ডার প্রণয়ন ও আধুনিক পদ্ধতিতে আর্কাইভে সংরক্ষণ;  (ন) জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার জন্য প্রণীত সরকারি পরিসংখ্যানের মান সত্যকরণ (Authentication) ;  (প) পরিসংখ্যান সংক্রান্ত পরামর্শ সেবা প্রদান;  (ফ) সরকার কর্তৃক নির্দেশিত অন্যান্য দায়িত্ব পালন; এবং  (ব) উপরি-উক্ত দায়িত্ব পালন ও কার্যাবলী সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।  মহাপরিচালক ও উপ-মহাপরিচালক৭। (১) ব্যুরোর একজন মহাপরিচালক ও একজন উপ-মহাপরিচালক থাকিবে।  (২) মহাপরিচালক ও উপ-মহাপরিচালক সরকার কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন ও তাহাদের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও চাকুরীল শর্তাদি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে।  (৩) মহাপরিচালক ব্যুরোর প্রধান নির্বাহী হইবেন।মহাপরিচালকের ক্ষমতা ও কার্যাবলী৮। (১) মহাপরিচালক-  (ক) ব্যুরোর সকল প্রশাসনিক ও অর্থ বিষয়ক কার্যাদি পরিচালনা করিবেন;  (খ) ব্যুরোর কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কার্যাবলী তদারক করিবেন এবং পেশাগত দিক-নির্দেশনা প্রদান করিবেন;  (গ) এই আইনের বিধানাবলী সাপেক্ষে এবং সময় সময়, সরকার কর্তৃক নির্দেশিত কার্যাবলী সম্পাদন, ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব পালন করিবেন; এবং  (ঘ) তৎকর্তৃক সমীচীন ও প্রয়োজনীয় বলিয়া বিবেচিত কার্যক্রম গ্রহণ করিতে পারিবেন।  (২) মহাপরিচালকের পদ শূন্য হইলে, বা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে মহাপরিচালক তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে, শূন্য পদে নবনিযুক্ত মহাপরিচালক কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বা মহাপরিচালক পুনরায় স্বীয় দায়িত্ব পালনে সমর্থ না হওয়া পর্যন্ত, উপ-মহাপরিচালক বা সরকার কর্তৃক নিযুক্ত কোন ব্যক্তি অস্থায়ীভাবে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করিবেন।  কমিটি৯। সরকার এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, এক বা একাধিক কমিটি গঠন ও উহার কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করিতে পারিবে।সরকারি পরিসংখ্যানের বাধ্যতামূলক ব্যবহার১০। যে কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা উহাদের অধীনস্থ দপ্তর, অধিদপ্তর বা সংস্থার পরিসংখ্যান সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে সরকারি পরিসংখ্যান বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহৃত হইবে।ব্যুরো ব্যতীত অন্যান্য সংস্থা কর্তৃক পরিসংখ্যান প্রস্তুত১১। ব্যুরো যে সকল বিষয়ে পরিসংখ্যান প্রণয়ন করে না সে সকল বিষয়ে, যে কোন মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা উহাদের অধীনন্থ দপ্তর, অধিদপ্তর বা সংস্থা, ব্যুরো কর্তৃক প্রণীত নীতিমালা অনুসরণক্রমে এবং বিধি দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে ও সময়ে ব্যুরোর অনাপত্তি গ্রহণপূর্বক পরিসংখ্যান প্রস্তুত ও প্রকাশ করিতে পারিবে।ব্যক্তি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের তথ্য প্রদানের দায়বদ্ধতা, ইত্যাদি১২। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ব্যুরোর চাহিদা অনুযায়ী যে কোন ব্যক্তি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ উহাদের নিকট সংরক্ষিত তথ্য, ইত্যাদি ব্যুরোকে প্রদান করিতে বাধ্য থাকিবে।  (২) ব্যুরোর কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রাপ্ত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করিবে:  তবে শর্ত থাকে যে, সংগৃহীত তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষের সম্মতি সাপেক্ষে প্রকাশ করা যাইবে।  প্রবেশ, ইত্যাদির ক্ষমতা১৩। এই আইনের অন্য কোন বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, অন্যান্য আইনের বিধানাবলী ও যথাযথভাবে অবহিতকরণ সাপেক্ষে, মহাপরিচালক বা তৎকর্তৃক সাধারণ বা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যুরোর কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই আইন বা বিধির অধীন তাহার উপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদন করিবার উদ্দেশ্যে কোন রেকর্ড, রেজিস্টার, দলিল বা এতদসংশ্লিষ্ট কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরীক্ষা, যাচাই-বাছাই বা সংগ্রহ করিবার জন্য কোন ভবন বা স্থানে প্রবেশ করিবার অধিকারী হইবেন এবং সংশ্লিষ্ট ভবন বা স্থানের মালিক বা কর্তৃপক্ষ চাহিত তথ্য প্রদানে বাধ্য থাকিবে।প্রশিক্ষণ একাডেমী১৪। (১) এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার পরিসংখ্যান বিষয়ক এবং উহার সহিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গবেষণা ও অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণের লক্ষ্যে, প্রয়োজনে, প্রশিক্ষণ একাডেমী প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবে।  (২) প্রশিক্ষণ একাডেমীর দায়িত্ব ও কার্যাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।  কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ১৫। ব্যুরো উহার কার্যাবলী সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত সাংগঠনিক কাঠামো অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ করিতে পারিবে এবং তাহাদের চাকুরীর শর্তাবলী বিধি দ্বারা নির্ধারিত হইবে।প্রকাশনা১৬। (১) ব্যুরো তৎকর্তৃক সংগৃহীত ও প্রস্ততকৃত পরিসংখ্যান প্রকাশ করিবে।  (২) উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রকাশিত প্রকাশনাসমূহ, সময় সময়, হালনাগাদক্রমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করিয়া লাইব্রেরীতে সংরক্ষণ করিতে হইবে।  অবগতিমূলক কর্মসূচী১৭। ব্যুরো উহার কার্যাবলী, কার্যপদ্ধতি ও প্রতিবেদন সম্পর্কে জনসাধারণকে সম্যক অবহিত করিবার লক্ষ্যে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করিবে।অপরাধ ও শাস্তি১৮। কোন ব্যক্তি এই আইনের ধারা ১৩ এর বিধান লংঘন করিলে, তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ১(এক) মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ১০,০০০(দশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড বা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।অপরাধের আমলযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা১৯। এই আইনের অধীন অপরাধসমূহ অ-আমলযোগ্য (Non-cognizable) ও জামিনযোগ্য (Bailable) হইবে।Act V of 1898 এর প্রয়োগ২০। এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, কোন অপরাধের অভিযোগ দায়ের, তদন্ত, বিচার ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898) এর বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে।বাজেট২১। ব্যুরো প্রতি বৎসর সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরবর্তী অর্থ-বৎসরের বার্ষিক বাজেট বিবরণী সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ফরমে অনুমোদনের জন্য সরকারের নিকট পেশ করিবে এবং উহাতে উক্ত অর্থ-বৎসরে ব্যুরোর কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হইবে উহার উল্লেখ থাকিবে।ক্ষমতা অর্পণ২২। মহাপরিচালক, প্রয়োজনবোধে, এই আইনের অধীন তাহার উপর অর্পিত যে কোন ক্ষমতা বা দায়িত্ব, লিখিত আদেশ দ্বারা, ব্যুরোর যে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে অর্পণ করিতে পারিবেন এবং সরকারকে উহা যথাশ্রীঘ্র সম্ভব অবহিত করিবেন।জনসেবক২৩। মহাপরিচালক , ব্যুরোর কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং ব্যুরোর পক্ষে কাজ করিবার জন্য যথাযথ ক্ষমতাপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তি, এই আইনের অধীন দায়িত্ব পালনকালে, Penal Code, 1860 (Act XLV of 1860), এর section 21 এ বর্ণিত অর্থে Public Servant বা জনসেবক বলিয়া গণ্য হইবেন।বার্ষিক প্রতিবেদন২৪। (১) মহাপরিচালক প্রতি বৎসর ৩১ মার্চের মধ্যে পূর্ববর্তী ৩১ ডিসেম্বরে সমাপ্ত এক বৎসরের স্বীয় কার্যাবলীর বিবরণ সম্বলিত একটি বার্ষিক প্রতিবেদন সরকারের নিকট পেশ করিবেন।  (২) সরকার ব্যুরোকে যে কোন সময় উহার যে কোন কাজের প্রতিবেদন বা বিবরণী বা পরিসংখ্যান উহার নিকট প্রেরণের নির্দেশ দিতে পারিবেন এবং উক্তরূপ নির্দেশ প্রাপ্তির পর ব্যুরো উহা সরকারের নিকট প্রেরণে বাধ্য থাকিবে।  ইংরেজিতে অনূদিত পাঠ প্রকাশ, ইত্যাদি২৫। (১) এই আইন কার্যকর হইবার পর সরকার, প্রয়োজনে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, এই আইনের ইংরেজিতে অনূদিত একটি নির্ভরযোগ্য পাঠ ( Authentic English Text) প্রকাশ করিতে পারিবে।  (২) এই আইনের বাংলা ও ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাইবে।   বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা২৬। এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে। নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষমতা২৭। এই আইনের ধারা ৬ এর দফা (ঙ) এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, ব্যুরো সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, নীতিমালা প্রণয়ন করিতে পারিবে।   রহিতকরণ ও হেফাজত২৮। (১) এই আইনের অধীন ব্যুরো প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ২৬ আগস্ট, ১৯৭৪ তারিখে জারীকৃত প্রজ্ঞাপন নং-৪/২৫/৭২-বিধি, অত:পর উক্ত প্রজ্ঞাপন বলিয়া উল্লিখিত, বাতিল হইয়া যাইবে।  (২) উক্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল হইবার সঙ্গে সঙ্গে-  (ক) উক্ত প্রজ্ঞাপনের অধীন গঠিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, অত:পর বিলুপ্ত ব্যুরো বলিয়া উল্লিখিত, বিলুপ্ত হইবে;  (খ) বিলুপ্ত ব্যুরোর-  (অ) সকল সম্পদ, অধিকার, ক্ষমতা, কর্তৃত্ব, সুবিধাদি এবং স্থাবর ও অস্থাবর সকল সম্পত্তি, নগদ ও ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ এবং অন্য সকল দাবী ও অধিকার ব্যুরোর উপর হস্তান্তরিত হইবে এবং ব্যুরো উহার অধিকারী হইবে;  (আ) বিরুদ্ধে বা উহা কর্তৃক দায়েরকৃত সকল মামলা-মোকদ্দমা ব্যুরোর বিরুদ্ধে বা ব্যুরো কর্তৃক দায়েরকৃত মামলা-মোকদ্দমা বলিয়া গণ্য হইবে;  (ই) সকল ঋণ, দায় ও দায়িত্ব ব্যুরোর ঋণ ও দায়-দায়িত্ব হইবে;  (ঈ) সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী ব্যুরোতে বদলী হইবেন এবং তাহারা ব্যুরো কর্তৃক নিযুক্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ বদলীর পূর্বে তাহারা যেশর্তে চাকুরীতে নিয়োজিত ছিলেন, ব্যুরো কর্তৃক পরিবর্তিত বা প্রেষণ প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত, সেই একই শর্তে তাহারা ব্যুরোর চাকুরীতে নিয়োজিত থাকিবেন;  (উ) সকল কমিটি বিলুপ্ত হইবে ও বিলুপ্ত কমিটি কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম, প্রদত্ত সিদ্ধান্ত, ইত্যাদি এই আইনের অধীন গঠিত কমিটি কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম ও প্রদত্ত সিদ্ধান্ত বলিয়া গণ্য হইবে এবং কোন সিদ্ধান্ত অবাস্তবায়িত থাকিলে বা উহার কোন কার্যক্রম অনিষ্পন্ন থাকিলে উক্তরূপ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও নিষ্পন্নের লক্ষ্যে উহা এমনভাবে চলমান ও অব্যাহত থাকিবে যেন কমিটিসমূহ বিলুপ্ত হয় নাই;  (ঊ) সকল রেকর্ড, নথিপত্র, দলিল-দস্তাবেজ, তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান ব্যুরোতে স্থানান্তরিত হইবে এবং উক্তরূপে স্থানান্তরিত রেকর্ড, নথিপত্র, দলিল-দস্তাবেজ, তথ্য-উপাত্ত এ পরিসংখ্যান এমনভাবে সংরক্ষণ করিতে হইবে যেন ব্যুরো বিলুপ্ত হয় নাই;  (ঋ) অধীন প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক, উপজেলা এবং থানা পরিসংখ্যান অফিসের কার্যক্রম এই আইনের অধীন শাখা কার্যালয় প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এমনভাবে কার্যকর ও অব্যাহত থাকিবে যেন উহারা এই আইনের অধীন প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে;  (এ) জারিকৃত সকল আদেশ, নীতিমালা, দিক-নির্দেশনা, জাতীয় পরিসংখ্যান পদ্ধতি, ইত্যাদি, এই আইনের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, পরবর্তী আদেশ, নীতিমালা, দিক-নির্দেশনা, জাতীয় পরিসংখ্যান পদ্ধতি জারি না হওয়া পর্যন্ত, একইরূপে চলমান, অব্যাহত ও কার্যকর থাকিবে যেন ব্যুরো বিলুপ্ত হয় নাই।  (৩) এই আইন প্রবর্তনের সংগে সংগে ১৩ আগস্ট, ১৯৭৭ তারিখের সরকারি আদেশ নং ১/এনএসসি/৭৭ (২০০) মূলে গঠিত জাতীয় পরিসংখ্যান কাউন্সিল বিলুপ্ত হইবে এবং বিলুপ্ত কাউন্সিল কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত, এই আইনের সহিত সংগতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, এমনভাবে কার্যকর ও বাস্তবায়িত হইবে যেন উক্ত কাউন্সিল বিলুপ্ত হয় নাই।